October 6, 2024, 12:24 am

সংবাদ শিরোনাম
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজায় শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য সকলকে সজাগ থাকার আহ্বান জামায়াত নেতা মাওলানা মমতাজ উদ্দিনের স্বাধীন সার্বভৌম মাতৃভূমিকে রক্ষা করতে হলে সশস্ত্র ট্রেনিং এর প্রয়োজন। বৈষম্য বিরোধী অভিভাবক ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কমিটির (পর্ব- ৪) ভঙ্গুর রাষ্ট্রকে গড়তে হলে সংস্কার প্রয়োজন=== বৈষম্য বিরোধী অভিভাব ছাত্র শ্রমিক জনতা ঐক্য কেন্দ্রীয় কমিটির ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত নাটোর পল্লী বিদ্যুত সমিতিতে অদ্ভুতুরে কাণ্ডকীর্তি ভোলা বোরহানউদ্দিনে প্রাথমিক সহকারি শিক্ষকগণের ১০ম গ্রেডের দাবিতে মানববন্ধন শারদীয় দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের লক্ষে বগুড়ায় বিএনপির মতবিনিময় সভা! লক্ষ্মীপুরে কুমিরের আতঙ্কে এলাকাবাসী সাংবাদিক পুত্র আবির হোসেন অনন্ত’র জন্মদিন আজ বিল্লাল হুসাইন ক্ষমতা! নাকি আড়ালে ছিলো ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী হাসিনার?

রাজশাহীতে স্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করলেন বাবা, অতপর…

রাজশাহীতে স্ত্রীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে মেয়েকে ধর্ষণ করলেন বাবা, অতপর…

 ডিটেকটিভ নিউজ ডেস্ক

সৎমেয়েকে ধর্ষণের দায়ে রাজশাহীতে নবাব আলী ওরফে লোবা (৩৭) নামে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার দুপুরে রাজশাহীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক মনসুর আলম এই রায় ঘোষণা করেন।

সেই সঙ্গে আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাস কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।
নবাব জেলার পুঠিয়া উপজেলার চন্দনমাড়িয়া গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা জজ আদালতের পরিদর্শক খুরশিদা বানু কনা।

তিনি জানান, মামলার বাদী ১৪ বছরের কিশোরী। সম্পর্কে সে নবাব আলীর সৎ মেয়ে। আপন বাবা মারা যাওয়ার পর তার মায়ের সঙ্গে নবাব আলীর বিয়ে হয়।

২০১১ সালে নবাব তার দ্বিতীয় স্ত্রী ও তার মেয়েকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন। এরপর তিনি মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি তার নানিকে জানালে মেয়ের সংসার ভেঙে যাওয়ার ভয়ে তা গোপন করেন। এ ঘটনার সাত মাস পর ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল নবাব আবারো তার স্ত্রীকে জুসের সঙ্গে মিশিয়ে ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। এতে তিনি ঘুমিয়ে পড়লে রাতে আবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৯ জুলাই মেয়েটি বাদী হয়ে তার সৎ বাবার বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

ঘটনা জানার পরেও গোপন করার চেষ্টা করার অভিযোগে ওই মামলায় তার নানিকেও আসামি করা হয়। তবে আদালত তার নানিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।

সৎ বাবার হাতে মেয়ে ধর্ষণের ঘটনাটিকে সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন আদালত। আসামি নবাব আলীর উপস্থিতিতেই এ রায় ঘোষণা করা হয়। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয় বলে জানান তিনি।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী ইসমত আরা। আর আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী খায়রুন্নাহার কাজল।

Share Button

     এ জাতীয় আরো খবর